স্বপ্না আক্তার স্বর্ণালী, নীলফামারী: [৩] আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা, নেই বৃষ্টি। উত্তরের কৃষিনির্ভর এই জেলায় ছোটো ছোটো নদী-নালা শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষক সময়মতো আবাদ করতে পারছেন না।

[৪] জেলায় চলতি মৌসুমে পাটের ফলন ভালো হলেও ভরা বর্ষায় বৃষ্টি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। পানির অভাবে পাট কেটে জমিতেই  ফেলে রাখছেন তারা। 

[৫] এখন আমন ধানের চারা রোপণের ভরা মৌসুম। জমিতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আমন চারাও লাগাতে পারছেন না কৃষক। শ্যালো মেশিন চালিয়ে কেউ কেউ আমনের চারা লাগালেও অনেকের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না।   লোডশেডিংয়ে সেচযন্ত্রেরও যথাযথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

[৬]সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের মাসুদ গ্রামের কৃষক বুলুু রশিদ জানান, বর্ষা শুরুর দিকে বৃষ্টিতে বিঘা খানেক জমিতে আমনের চারা লাগিয়েছি। কিন্ত অনাবৃষ্টির কারণে আমনের সেই চারা পুড়ে যাচ্ছে। মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। 

[৭]জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, অর্জিত হয়েছে ৫০ হাজার ৫৭১ হেক্টর। 

[৮] তিনি আরো বলেন, এখনো আমন মৌসুম শেষ হওয়ার এক থেকে দেড় মাস বাকি আছে। সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে চারা রোপণের জন্য ৬টি উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকদের অবহিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব